০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞ

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আগামী তিন মাস মাছ ধরা, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আজ ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে, যা চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতেই প্রতিবছর এ সময়টিতে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ সময় হ্রদে মাছ ডিম ছাড়ে ও বংশবৃদ্ধি ঘটায়, যা হ্রদের সামগ্রিক মাছের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, “প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখলে সামগ্রিকভাবে হ্রদের উৎপাদন বেড়ে যায়। ভবিষ্যতের জন্য মাছের মজুদ নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসনের যৌথ দল মাঠে থাকবে। অবৈধভাবে মাছ শিকার কিংবা বিপণনের চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এই সময়ে জেলেদের জন্য সরকার ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা দেবে। নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে নিয়মিত চাল বিতরণ করা হবে, যাতে তারা এই সময়টুকু অন্তত কিছুটা আর্থিক সহায়তা পান।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছরের মতো এ বছরও মাছের বংশবিস্তারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হ্রদে বিপুল পরিমাণে পোনা অবমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Tag :

গাজীপুরে ইমামের নির্মম হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞ

Update Time : ০২:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আগামী তিন মাস মাছ ধরা, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আজ ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে, যা চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতেই প্রতিবছর এ সময়টিতে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ সময় হ্রদে মাছ ডিম ছাড়ে ও বংশবৃদ্ধি ঘটায়, যা হ্রদের সামগ্রিক মাছের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, “প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখলে সামগ্রিকভাবে হ্রদের উৎপাদন বেড়ে যায়। ভবিষ্যতের জন্য মাছের মজুদ নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসনের যৌথ দল মাঠে থাকবে। অবৈধভাবে মাছ শিকার কিংবা বিপণনের চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এই সময়ে জেলেদের জন্য সরকার ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা দেবে। নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে নিয়মিত চাল বিতরণ করা হবে, যাতে তারা এই সময়টুকু অন্তত কিছুটা আর্থিক সহায়তা পান।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছরের মতো এ বছরও মাছের বংশবিস্তারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হ্রদে বিপুল পরিমাণে পোনা অবমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।