
রমজানের ছুটি ও কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে রাঙামাটি পাবলিক কলেজের গুরুত্বপূর্ণ জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—এই দখল কার্যক্রম কোনো নিছক অনধিকার প্রবেশ নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ভূমি দখলের চেষ্টার অংশ।
ঘটনার সূত্রপাত, কলেজের পাশের হর্টিকালচারের মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রের একটি রাস্তা ব্যবহার করে আসছিল দখলদার গোষ্ঠী। সম্প্রতি ওই এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে হর্টিকালচার কতৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে চাপে পড়ে যায় দখলদাররা। এরপরই তারা সুযোগ খোঁজে কলেজ বন্ধের সময়। সেই সুযোগে কলেজের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে সেখানে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে তারা।
এই দখলপ্রয়াস ঠেকাতে গিয়ে চড়াও হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বলেছেন “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বন্দোবস্তকৃত জমির সীমানা নির্ধারনী কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে দখলদাররা উল্টো আমাদের উপর চড়াও হয়ে তেড়ে আসে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।” গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ নাগরিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি এভাবে দিনের আলোয় দখল হয়ে গেলে, তা ভবিষ্যতে জেলার অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
কলেজ কতৃপক্ষ জানান, “আমরা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের বন্দবস্তকৃত জায়গার পশ্চিম দিকে হর্টিকালচারের মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রের পূর্ব দিকে ওয়াল ঘেঁষে অবৈধ ভাবে কলেজের জায়গায় গাছ কেটে তৈরি করছে রাস্তা। এতে কলেজের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলছেন সচেতন মহল।
স্থানীয়রা বলছেন, “এটা শুধু একটি জমি দখলের ঘটনা নয়, এটি শিক্ষা ও আইনের প্রতি অসম্মান। অবিলম্বে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
রাঙামাটির শিক্ষাপ্রেমী ও নাগরিক সমাজ এখন তাকিয়ে আছে প্রশাসনের দিকে—কবে সরবে তারা, আর কখন মুক্ত হবে শিক্ষাঙ্গনের জমি দখলের কবল থেকে।