১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন তদন্ত কমিটির

রাঙামাটিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় সরকারের নির্দেশে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী’র নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ রাজু। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত কমিটি বনরুপা বাজার, কাটাপাহাড় লেইনসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও বাসাবাড়ি পরিদর্শন করে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের সাথে কথা বলেন।

তদন্ত শেষে, মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের জানান, “আমরা তিনটি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি: ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথোপকথন, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি এবং সরকারকে ক্ষতির বিষয়টি জানানো। সামনের সময়ে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দুইটি সরকারি অফিস, ৮৯টি দোকান, চারটি ব্যাংক, ৮৫টি ভাসমান দোকান, দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ৪৬টি পরিবহন, দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং একটি পুলিশ বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ নয় কোটি টাকা।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, তদন্ত কমিটি যেন ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে এবং দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে ঘটে যাওয়া এই সহিংসতার তদন্তে ২৬ সেপ্টেম্বর একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়, যাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন তদন্ত কমিটির

Update Time : ০৭:১৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাঙামাটিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় সরকারের নির্দেশে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী’র নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ রাজু। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত কমিটি বনরুপা বাজার, কাটাপাহাড় লেইনসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও বাসাবাড়ি পরিদর্শন করে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের সাথে কথা বলেন।

তদন্ত শেষে, মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের জানান, “আমরা তিনটি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি: ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথোপকথন, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি এবং সরকারকে ক্ষতির বিষয়টি জানানো। সামনের সময়ে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দুইটি সরকারি অফিস, ৮৯টি দোকান, চারটি ব্যাংক, ৮৫টি ভাসমান দোকান, দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ৪৬টি পরিবহন, দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং একটি পুলিশ বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ নয় কোটি টাকা।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, তদন্ত কমিটি যেন ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে এবং দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে ঘটে যাওয়া এই সহিংসতার তদন্তে ২৬ সেপ্টেম্বর একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়, যাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।