সকাল হলেই মনে পড়বে আজ তো ৯ই নভেম্বর। বিগত রাতে নেই কোনো কাজের ব্যস্ততা, নেই কোনো কারুকার্য, না আছে কোনো পত্র মিতালির বন্ধন আর না আছে কোনো আলপনা। তাইতো সবই আজ কল্পনা। তবুও তুমি এসেছো অথচ আজও আমরা জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এই দিনেই পরিচয় হয় অনেক বড় ভাইদের সাথে কাজের সহযোগিতার হাত ধরে। পরিচিত-অপরিচিত সকলে মিলেমিশে কঠিন কাজগুলোকে অতি সহজেই করে ফেলা যায়। সে কথাগুলো “সিএসই ডে” এক বছর পূ্র্তি উদযাপনের ৮ই নভেম্বর দিবাগত রাতটাই মনে করিয়ে দেয়।
রাত ১.৩০-২.০০ টাই দিকে কাজ শেষে ঘুমানো। কি এক অদ্ভুত ভালো লাগা ছিল সেটা মুখের ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না। সেই যে শুরু এরপর আরো কয়েকবার এই দিনটিকে উদযাপনের সুযোগ হয়েছে কোনোবারই রাত ২.৩০ টা থেকে ৩.০০ টার আগে ঘুমানোর সুযোগ হয়না। তাই তো আজও সেই দিনের আগমনে কিভাবে কোনো কাজ না করে ঘুমায় হুমমমম!!!! তাই করোনা পরিস্থিতিতে হয়তো সবার সাথে এক হয়ে কাজ করতে না পারলেও মনে পড়ে আমাদের সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর প্রথম ব্যাচ “Semicolon” এর বড় ভাই-আপুদের রাতে আঁকানো আলপনার কথা, উনাদের সাথে নানান কাজে সহযোগিতায় এগিয়ে আসা “পৌরাণিক” ব্যাচের আমার সহপাঠীদের কথা। হয়তো কারো মনে বিভেদ আছে থাকবেই চিরকাল এই জন্যই আমরা মানুষ। কিন্তু দিনশেষে আমরা সবাই এক। যার কারণেই সবসময় একে-অপরের সহযোগিতায় এই দিনটি উদযাপন করে এসেছি, আসবো। পরবর্তীতে ছোট ভাই-বোন যে বা যারাই সহযোগিতা করেছো বিভিন্ন কাজে তোমাদের জন্য রইল শুভ কামনা। তোমাদের পথচলা হোক সুন্দর,কল্যাণময় ও স্বাভাবিক।
আর আমাদের ডিপার্টমেন্টের সকল ম্যাডাম/স্যারদেকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ উনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বর্তমান ও আগামীর দিনগুলো আরো সুন্দর ও সাবলীল হোক আমাদের পথ চলা। উত্তরোত্তর সাফল্যে ভরে উঠুক সিএসই বিভাগ। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় আজও নিজেকে একটু হলেও ব্যস্ত রাখার স্বল্প প্রয়াসমাত্র। সকলকে জানাই, “Happy CSE DAY” -2020 বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য ভার্সিটি বন্ধ থাকায় এই দিনটিকে অন্যান্য বছরের ন্যায় পালন করার কোনো সুযোগ নাই।
মুহাম্মাদ আইনাল হক (সিএসই, ২য় ব্যাচ)
Leave a Reply